দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে গুরুতর জখম করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ এবং র্যাব রংপুর-১৩ এর একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে আসাদুল ইসলামকে এবং জাহাঙ্গীর আলমকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে রংপুরে র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলম (৪২) উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম (৩৫) উপজেলা যুবলীগের সদস্য।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, আসাদুল ইসলাম ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা রানিগঞ্জের আবুল কালামের ছেলে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
আরও জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে জাহাঙ্গীর আলম আহ্বায়ক হন।
পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় দুষ্কৃতকারীরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- রংপুর ডিআইজির একজন প্রতিনিধি এবং দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ মাহমুদ।
এছাড়া হামলার ঘটনায় ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেছেন।
সূত্র- জাগো নিউজ