ঝিনাইদহের শৈলকূপায় অতি দরিদ্রদের জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে কর্মসৃজন কর্মসূচির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। টাকা না পেয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বুধবার উপজেলা নির্বাহীর কাছে অভিযোগ দেন। উপজেলা নির্বাহী ঘটনা সুষ্ঠু বিচার করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা আবেদন দিয়ে অফিস ত্যাগ করেন। তবে বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে পিআইসি বগুড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ মিন্টু জানান, নিয়ম রয়েছে ১ম ও ২য় ধাপে ৪০দিন করে মোট ৮০ দিন কাজ করবে ১৫৪ জন শ্রমিক। কিন্তু সেখানে ৭২ থেকে ৭৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হয়। শ্রমিকরা ১০ দিন কাজ করার পর ১৫০০ টাকা পাওয়ার কথা এবং এই টাকা শ্রমিকরা চেকের মাধ্যমে নিজেরায় ব্যাংক থেকে উঠানোর নিয়ম রয়েছে।
কিন্তু চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নিজে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে তার মন মত করে শ্রমিকদের কাউকে ১২০০ আবার কাউকে ১৩০০ টাকা দিয়ে থাকেন। আর শ্রমিকদের সঞ্চয় হিসাবে ব্যাংকে বাকি থাকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে। এই টাকাগুলো শ্রমিকেরা নিজেরাই এককালীন উঠিয়ে নেবে। অথচ বাকি এই সঞ্চয়ের টাকাসহ চেয়ারম্যান সমুদয় টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
তবে বগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এই টাকা আমি উঠায়নি। সংশ্লিষ্ট পিআইসিরা উঠিয়ে নিয়েছে। ঘটনাটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, শ্রমিকরা একটি অভিযোগ করেছে। সেটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর বুঝা যাবে কে এই টাকা উঠিয়ে নিয়েছে।
Attachments area