ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর ম্মারকলিপি প্রদান করেছে গাংনী উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল সহকারে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা অবস্থান নেন। এবং বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। এসময় ইটভাটার বিপুল পরিমাণ শ্রমিকরাও অংশ নেন।
বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, গাংনীর সাবেক এমপি ইটভাটা মালিক আমজাদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইটভাটা মালিক জুলফিকার আলী ভূট্টো, বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইটভাটা মালিক আওয়াল বিশ্বাস, ইটভাটা শ্রমিক আলফাজ উদ্দিন প্রমুখ।
তারা আরও বলেন, গাংনী উপজেলায় ৫৫টি ইটভাটায় রয়েছে। এই ইটভাটা গুলোতে হাজার-হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব ইটভাটাগুলো প্রায় ৩৫-৪০ বছরের অধিক সময় ধরে চলমান রয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৩ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী অধিকাংশ ইটভাটাকে ছাড়পত্র প্রদান না করায় এবছর এসব ভাটাগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে। অথচ এই ভাটাগুলোর কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রতি বছর ৫-৬ লক্ষ টাকা অগ্রিম রাজস্ব দিয়ে আসছে। এছাড়াও ইটভাটা পরিচালনার অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংক ঋণ বা দায়দেনা রয়েছে। শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অংকের টাকা প্রদান করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে ভাটা মালিকরা বড় ধরণের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন। এছাড়া ভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের জীবন রজীবিকা ব্যাহত হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় ইটভাটাগুলো চলতি সৌসুম পর্যন্ত পরিচালনা করার সুযোগ দেবার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান বক্তারা।
পরে উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, পরিবেশ উপদেষ্টার ঘোষণার পর মেহেরপুরে জেলা প্রশাসনের প্রশাসনের অভিযানে বেশ কয়েকটি ভাটাতে জরিমানা আদায় ও ইটভাটাগুলো বন্ধের আদেশ দেন।
মেহেরপুর জেলায় ১০৮ টি ইটভাটা রয়েছে। কোনো ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। সবগুলোই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে।