স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যা ৪২ বছরে পদার্পণ করেছে। জন্মদিনে বর্ণিল পতাকা ও আলোকসজ্জায় রঙিন হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান।
পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তি ও আনন্দের প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর প্রশাসন ভবনের পূর্ব পাশে দুইটি গাছের চারা রোপণ করে তিনি ৪২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ৪২টি ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বেলা এগারোটায় প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে কেক কাটা ও বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফসহ উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধান এবং বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যা ৬টায় অনলাইন আলোচনাসভার (ওয়েবিনার) আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম-এর সভাপতিত্বে ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমান-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান এবং অতিথি হিসেবে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ অংশ নেন।
স্বাগত বক্তব্য রখেন ৪২তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপ-কমিটি ২০২০-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। জন্মদিনের আনন্দ আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও কর্মকর্তা সবার। এইদিনে আমাদের ঐতিহ্য ইতিহাস জন্মের পেছনের দিনগুলো কেমন ছিলো এবং আগামীতে কিভাবে আরও এগিয়ে যাবো বা এই স্বপ্নকে ধারণ করবো এবং সেই স্বপ্নের দিকে আমরা সবাই সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে যাবো।
কোভিড সিচুয়েশনে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যেভাবে পালন করতে চাচ্ছিলাম সেভাবে করতে পারছি না, কিন্তু এক একটা জন্মদিনে এক একটা অঙ্গীকার করতে হয় সেই হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রত্যেকটি স্টেক-হোল্ডার অঙ্গীকার করবো।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাল মিলিয়ে ভূমিকা রাখবো। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বপরিসরেও আমরা যেন জায়গা করে নিতে পারি সেই চিন্তা চেতনা ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো’।