মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারটি ৪০১ একর জমির উপর অবস্থিত। এখানে আলু, ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন শষ্যের বীজ উৎপাদন করা হয়। এই বিশাল আয়তনের খামারটি তে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছপালা রয়েছে। কর্মকতাদের উদাসীনতার কারণে বর্তমানে কয়েক শত গাছ মারা যাওয়ায় সংরক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাছে।
৮নং ধানখোলা ইউপি মেম্বার জাফর আলী জানান, লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ মরে পচে মাটি হয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু অসাধু শ্রমিকরা সুযোগ বুঝে চুরি করে নিয়ে যায়। দেখার কেও নেই বিগত সময়ে কর্মকর্তারা সুন্দর ভাবে দরপত্র আহবান মাধ্যমে বিক্রয় করিতেন বর্তমান যুগ্ম্ন-পরিচালক রেজাউল হুদা যোগদান করিবার পরে থেকে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার সস্পদ নষ্ট হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষকলীগের সাধরণ সস্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ (লিখন) জানান, যুগ্ম-পরিচালক রেজাউল হুদা যোগদানের পরে থেকে শত শত গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর উদাসীনকার কারণে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার সস্পদ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে।
গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান (মদন) জানান, শত শত গাছ মরে মাঠে দাঁড়িয়ে আছে আবার খামারে বাগানের ও গর্তে পড়ে পঁচে যাচ্ছে শত শত কাঠের খন্ড। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে বর্তমান যুগ্ম-পরিচালক রেজাউল হুদা কে বার বার সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা সস্পদ নষ্ট বিষয় আলোচনা করি কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই কর্মকর্তার কেন যে কোন মাথ্যব্যথা নেই এটা আমার বোধগম নয়।
চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে ভান্ডার রক্ষক শ্রী সনজিদ কুমার সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি জানান, চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারের শত শত মরা গাছ আছে রেজিষ্টারে কোন হিসাব নেই।
চিৎলা ভিত্তি পাট বীজ খামারে যুগ্ম-পরিচালক রেজাউল হুদা সাথে করিলে যোগাযোগ করিলে তিনি জানান, খামারে মরা গাছ আছে অনেক। কিন্ত সরকারী গাছ বিক্রয় প্রক্রিয়া খুব কঠিন। তাই সাধারনত আমরা দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা এই মরা গাছের দিকে তাকায় না।