কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ সিনেমায় প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন পূর্ণিমা। অবশ্য পূর্ণিমা ভক্তরা এবং অনেক গুণী পরিচালকও সেই পুরস্কার পাওয়ার পর মন্তব্য করেছিলেন—পূর্ণিমা’র আরো অনেক আগেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক ভালো ভালো সিনেমায় দুর্দান্ত চরিত্রে অভিনয় করেও সেসব সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য পূর্ণিমা’র হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না এলেও ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন।
আবার গত কয়েক বছর ধরে উপস্থাপনাতেও পূর্ণিমা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকা, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন কর্পোরেট শো-তে এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও পূর্ণিমা উপস্থাপনা করে প্রশংসিত হয়েছেন। সম্প্রতি ‘দীপ্ত টিভি সম্মাননা ২০২২’-এ পূর্ণিমা শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন। এবারই প্রথম তিনি উপস্থাপনার জন্য কোনো স্বীকৃতিতে ভূষিত হলেন।
পূর্ণিমা বলেন, ‘অভিনয়ের পাশাপাশি যখন আমি উপস্থাপনা শুরু করি ঠিক তখন থেকেই আমার ভক্ত দর্শক আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। যদি অনুপ্রাণিত না হতাম তাহলে হয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। দর্শকের এই যে ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা দেওয়া তা আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আরো ভালো করতে সাহস যুগিয়েছে। একজন উপস্থাপিকা হিসেবে আমাকে সম্মানীত করায় দীপ্ত টিভি কর্তৃপক্ষ সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
সেই সঙ্গে আমার সকল ভক্ত-দর্শকের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা। কারণ তারা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে ছিলেন বলেই উপস্থাপনায় এগিয়ে যেতে পেরেছি। এই সম্মাননা নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিল।’
এদিকে পূর্ণিমা কিছুদিন আগে ছটকু আহমেদের পরিচালনায় সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘আহারে জীবন’র কাজ শুরু করেছেন। এতে তার বিপরীতে আছেন ফেরদৌস। আর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ সিনেমা। এছাড়া আপাতত আর নতুন কোনো সিনেমাতে কাজ করছেন না পূর্ণিমা।