রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বাকি দুটি মামলার শুনানির জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল করেছিলেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে ১২ নভেম্বর মামলার সিডি (কেস ডকেট) নথিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ৯ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মানবজীবন পত্রিকার রিপোর্টার আল-আমিন, ফেসবুক আইডি শফিকুল ইসলাম কাজল, প্রিন্স ফাহিম, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফরহাদ খান, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মাদ মোসলেম, মো. মিজানুর রহমান, মোর্শেদ আলম, কাকন আবু হানিফ, মো. রুবেল, আয়েশা আমান, মো. শামিম আক্তার, মো. সাত্তার মৃধা, মো. তৌফিক, মিলি হাসান, হাবিব আদনান, ঋষি কান্ত, মো. সোহেল হোসেন, ছালে আহমেদ, জসিম উদ্দিন জসিম, মো. খাইরুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম, মো. মাহফুজ আহমেদ, এম এ মামুন, মো. হেলাল, সেলিম চৌধুরী, ইস্পাত মোহাম্মাদ, বেলায়েত হোসেন, মারুফ রাজু ও মকটেল হোসেন মুক্তি।
মামলাটি দায়েরের পর গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।