দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের মখোলাপাড়ার মৃত রমজানের স্ত্রী ৭০ বছরের বৃদ্ধা অসহায় বিধবা আকলিমা খাতুনের একটি বয়স্ক ভাতা হতে পারে তার জীবনের বেঁচে থাকার বাকি বছর গুলোর শেষ সম্বল।
জানা গেছে, পীরপুরকুল্লা গ্রামের আকলিমা খাতুনের স্বামী ৪৫ বছর পূর্বে মারা গেছেন। তখন তার এক মেয়ে ও কোলে এক শিশু ছেলে ছিলো। অনেক কষ্ট করে ছেলে মেয়ে মানুষ করে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এখন নাতি নাতনির নানা দাদা হয়ে গেছে। আকলিমা আক্ষেপের সুরে বলেন আমার শিশু সন্তান যখন কোলে তখন আমার স্বামী মারা যায়। সেই থেকে আজ অবধি একটা বিধবা ভাতা ও বয়স্কভাতার কার্ড কপালে জুটলো না। ছেলের ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা কষ্ট করে আমার ছেলের বউ বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে এনে তাদের ঘর করে দিয়েছে। মানুষ আসলে আমার ছেলের ঘর দেখে। বলে পাকা বাড়ি। আমার তো প্রতিমাসে তিন চার হাজার টাকার ওষুধ লাগে।ছেলের বাড়ি তিনবেলা ভাত খাই। মেয়ের বাড়ি গিয়ে থাকি। তারা ভাত কাপড় দিলেও আমার ওষুধ খরচ তো তারা দিতে পারেনা। সে সামর্থ তাদের নেই।তাদের যা আয় তাই দিয়ে সংসার চলে। এ বয়সে যদি একটা বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ড হতো তবুও তা দিয়ে যা পেতাম। কোনরকম বাকি জীবনটা ওষুধ কিনে খেয়ে চলতে পারতাম।
স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন বৃদ্ধা আকলিমা খুব কষ্ট করে জীবন পার করেছেন। এখনো করছেন। তার একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা কার্ড হলে সে খুবই উপকৃত হতো। বৃদ্ধা আকলিমার একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের ব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সহ দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।