কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় সাতজন ও উপসর্গে দুজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, গত কয়েকদিন হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়ে গেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৫২টি নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ১৯ জন, দৌলতপুরে ২০ জন, কুমারখালীতে ২৯ জন, ভেড়ামারায় ১২ জন, মিরপুরে ৩৪ জন ও খোকসায় ১৬ জন।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৭৭। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৩২০ জন। এদিকে করোনা সংক্রমণ কমাতে ২০ জুন রাত ১২টা থেকে কুষ্টিয়ায় লকডাউন শুরু হয়েছে। ২৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। লকডাউনে জেলা উপজেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বের হতে দিচ্ছে না।
মিরপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড, জিয়াসড়ক, ঈগল চত্বর, আমলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর সার্কেল) আজমল হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রকিবুল হাসান, মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্টরা কঠোর নজরদারি করেন। এছাড়া জেলা শহরের মজমপুর গেট, চৌড়হাস ও বড়বাজার এলাকায় পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের সদস্যরা কঠোর অবস্থান নেন।