২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত পিইসি পরীক্ষায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একজন মাত্র পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও সে ফেল করেছে। এনিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে পুরো মেহেরপুরে। অথচ বিদ্যালটিতে প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী নবিননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যে গ্রামটিতে মাত্র ৩৫ পরিবারের বসবাস। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নবিননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে মাত্র ২৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল মিজান অঅহমেদ নামের ওই শিক্ষার্থী। অন্যান্য শ্রেণীর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৫ জন, প্রথম শ্রেণীতে ৬জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৬ জন, তৃতিয় শ্রেণীতে ৬ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
বিধি মোতাবেক ৪০ জন শিক্ষার্থীর স্থলে একজন করে শিক্ষক থাকার কথা। অথচ মাত্র ২৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের রয়েছেন চার জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেক চেষ্টা করেও আমরা ওই শিক্ষার্থীতে পাশ করাতে পারিনি। মিজান আহেমদ নামের ওই শিক্ষার্থী শারিরীক ও মানসিক ভাবে খুবই দুর্বল। ফলাফল প্রকাশের পর থেকে আমরা খবু লজ্জার মধ্যে পড়েছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আপিল উদ্দিন বলেন, এটি খুবই লজ্জাজনক ঘটনা। আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক বেশি এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক এমন নীতি থাকলেও মিনিমাম ৫ জন শিক্ষক একটি স্কুলে থাকতে হবে। যে কারণে সেখানে চারজন শিক্ষক রয়েছে। তবে আমরা কয়েক মাস আগে এনিয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠালেও এখনো পর্যন্ত তার কোন নির্দেশনা আসেনি।
-নিজস্ব প্রতিনিধি