সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় প্রায় ১১ বছর ধরে আটকে আছে আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সীমানা জটিলতা নিরসন করে ২০১৭ সালে মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৫ জুন আবারো মেহেরপুর পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তপশিল ঘোষনা হয়েছে। কিন্তু এবারো হচ্ছে না ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
প্রায় ১২ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন আনারুল ইসলাম। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আসন্ন স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব জায়গাতেই এক প্রকার নির্বাচনি আমেজ তৈরি হলেও আমদহ ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে এখনো অনিশ্চিয়তা কাটছে না।
জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ৯ জুন আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। একই বছরের ২৮ জুলাই ওই নির্বাচনে বিজয়ী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই এ পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। ওই সময় দেশের অন্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হলেও সীমানা জটিলতা দেখিয়ে মেহেরপুর পৌরসভা ও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। পরে সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ ও ২৩ এপ্রিল আমদহ ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন হলেও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তখন স্থগিত করা হয়।
আমদহ গ্রামের মহসিন আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই চেয়ারে থাকায় ওই চেয়ারম্যান-মেম্বাররা সাধারণ মানুষকে তেমন মূল্য দিচ্ছেন না।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, ‘সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার দোহাই দিয়ে নির্বাচন স্থগিত থাকলেও এটি তেমন জটিল কিছু নয়। এটা নিরসন হয়ে পৌর নির্বাচন হয়েছে। সীমানা জটিলতা আর নেই। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা চান নির্বাচন হোক। দল মনোনয়ন দিলে আমারও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘গত তফসিলে আমি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলাম। একটি পক্ষের কূটকৌশলে নির্বাচনটি স্থগিত রয়েছে। শিগগিরই নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
জনগনের ভোটাধিকার হরণ করেছে সে। জনপ্রতিনিধি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিনা ভোটে দশ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করাটা যৌক্তিক না। আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমদহ ইউনিয়নের নির্বাচন দাবি জানাচ্ছি।