দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোটে দ্বিতীবারের মত গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট।
ভোট গণনা শেষে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনী অফিসার মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এমএ খালেককে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এছাড়া অপর প্রার্থী রাশেদুল হক জুয়েল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট, বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টো কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭ ভোট,মোশাররফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭০৪ ভোট, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮৯ ভোট, লাইলা আরজুমান বানু শিলা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২২৭ ভোট, মুকুল জোয়ার্দার শালিক পাখি প্রতিকে পেয়েছেন ২০১ ভোট।
ভাইসচেয়ারম্যান পদে ফারুক হাসান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেন মিঠু তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬০৪ ভোট, এছাড়া অপর প্রার্থী রেজাউল করিম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৮২ ভোট। যদিও রেজাউল করিম ভোটের কয়েকদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এছাড়া মহিলা ভাইনসচেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা: নাসিমা খাতুন। তার প্রতিক ছিল ফুটবল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪০৯ ভোট।
তার নিকটতম প্রার্থী ফারহানা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮৫৭ ভোট ও অপর প্রার্থী আলপনা আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ১৫ ভোট।
গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট পোল হয়েছে ৮০ হাজার ২৮১ ভোট। যার শতকরা হার ৩৪.০৪ শতাংশ।
রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলাতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৪ জন।