মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদীর ঐতিহ্যবাগী ছাগল হাটে করোনার কারণে ক্রেতা কম দেখা গেছে। তবে চাহিদা অনুযাযী শনিবার হাটে হাজার খানেক বিভিন্ন আকারের ছাগল নিয়ে গিয়েছিলেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে ৭শ ছাগল বিক্রি হয়েছে বাকি ৩শ ছাগল ক্রেতার অভাবে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন বিক্রেতারা।
অথচ ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে মেহেরপুরের বারাদী বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ছাগলের হাটে শেষ সময়ে ক্রেতা- বিক্রেতা জমজমাট থাকে।
কোরবানির বাজারে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে মেহেরপুরের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ব্যাপারিরা ভিড় করে থাকেন। মেহেরপুর জেলাতে পশু হাট হিসেবে সর্বপ্রথম বারাদী ছাগলের হাট প্রতিষ্ঠিত হয়। যার বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে। এতদিনে বারাদি ছাগল হাটের কদর কমেনি একবিন্দুও। সারা বছরজুড়েই সপ্তাহের শনি ও বুধবার ক্রেতা বিক্রেতায় ভরপুর থাকে হাটটি। প্রতি বছর এসময়ে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ফরিদপুর, রাজবাড়ি থেকে জেলার ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল কিনতে ব্যাপারিরা ভিড় করতেন। ট্রাকবোঝায় করে কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর করোনার কারণে বিক্রেতারা তাদের খামার বা বাড়িতে পালিত ছাগল নিয়ে হাটে গিয়ে বিক্রি না হওয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
করোনার কারণে ক্রেতা কম থাকলে হাটে দেখা গেছে গাদাগাদি করে চলাফেরার দৃশ্য। অধিকাংশরাই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মাস্ক পড়ছেন না। আবার কেউ কেউ মাস্ক থুতনির নিচে দিয়ে রেখেখেন।
ছাগল বিক্রেতা আব্দুল হান্নান বলেন, ৫টি ছাগল নিয়ে এসেছিলাম। ক্রেতার অভাবে ২টি ছাগল বিক্রি করতে না পেরে ফেরৎ নিয়ে যাচ্ছি।
হাট কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবারের হাটে প্রায় হাজার খানেক ছাগল আমদানী হয়েছিল। এর মধ্যে ৭শ বিক্রি হয়েছে। করোনার কারণে ক্রেতার অভাবে বাকি ছাগলগুলো বিক্রি হয়নি। তিনি বলেন, সকল ক্রেতা বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা, মাস্ক ব্যবহারের জন্য আমরা প্রচার করছি। এরপরেও অনেক ক্রেতা এবং বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করছে না ।