করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক পরা বাদ দিতে হবে। ২০২২ সালে এসে গবেষকরা এমন কথায় বলছেন। তারা বলছেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে মোকাবেলা করতে সক্ষম না কাপড়ের মাস্ক।
মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এসএসএমের ডঃ ডেভিড ওটেনবেকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সবাইকে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের প্রতি নিরুৎসাহিত করছি কারণে আগের তুলনায় করোনা সম্পর্কে এখন আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ওটেনবেকার ও অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক তথ্য আছে যার মাধ্যমে বোঝা যায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে মোকাবেলা করতে সক্ষম না কাপড়ের মাস্ক।
গবেষকর দাবি করছেন, কাপড়ের মাস্ক সার্জিকাল মাস্কের তুলনায় কম কার্যকর। এজন্য সবাইকে কাপড়ের মাস্ক বাদ দিয়ে সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সিভিল অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ড. লিন্ডসে মার বলছেন, কাপড়ের মাস্ক করোনার অন্যান্য ধরণ থেকে সুরক্ষা দিলেও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর না। তিনি বলেন, কাপড়ের মাস্ক ৫০ শতাংশ কার্যকর এবং তা আগে ঠিক থাকলেও ওমিক্রনের জন্য কার্যকর না। সেক্ষেত্রে এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। এছাড়া কেএননাইন্টিফাইভ এবং কেএননাইন্টিফোর মাস্কও কার্যকর। এ সব মাস্কগুলোই ওমিক্রন থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে মাস্ক যেনো ভালোভাবে পরা হয় সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নাকের উপরে যেনো মাস্ক লেগে থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে।
দ্যা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন সেন্টারের মতে সুরক্ষার জন্য ভালো হলেও ওমিক্রন থেকে সুস্থ থাকতে সবাইকে এননাইন্টিফাইভ মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার সাথে যারা জড়িত তাদের এননাইন্টিফাইভ মাস্ক ব্যবহারের প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ অনলাইন