স্পেনের বার্সেলোনায় ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রদর্শনী মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)-২০২০ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে এ প্রদর্শনীতে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এলজি ইলেকট্রনিকস, এরিকসন এবং এনভিডিয়া।
এবার ই-কমার্স জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠান আমাজন জানিয়েছে, তারাও বার্সেলোনার মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশ নেবে না। আমাজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায়’ এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে না তারা।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে গ্রাফিক্স চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া। শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এনভিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘করোভাইরাসকে ঘিরে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে, আমাদের সহকর্মী, অংশীদার এবং গ্রাহকদের সুরক্ষাই আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব।’ আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি, ৫জি এবং ভির্যান নিয়ে করা আমাদের কাজগুলো বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করার অপেক্ষায় ছিলাম।
অংশ নিতে না পেরে আমাদের আক্ষেপ হচ্ছে; কিন্তু আমাদের বিশ্বাস- এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত, বলেছে এনভিডিয়া। এদিকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক লাখ দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করা এ ইভেন্ট যথারীতি চলবে। তবে পাশাপাশি তারা এ-ও জানিয়েছে, আয়োজনে অংশ না নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও।
ইভেন্টের আয়োজক জিএসএমএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নিশ্চিত করছে যে, অনেক বড় প্রতিষ্ঠান না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অন্যরা এখনও পরবর্তী ধাপ বিবেচনা করছে, আমাদের এখনও দুই হাজার আটশ’র বেশি অংশগ্রহণকারী রয়েছে। আয়োজকরা আরও জানিয়েছে, প্রদর্শক এবং দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, যা আমাদের মূল বিবেচনা।
চীনের হুবেই অঞ্চলের ভ্রমণার্থীদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেসব ব্যক্তি চীনে ছিলেন তারা এতে অংশ নিতে চাইলে তাদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে, তারা বিগত ১৪ দিনের বেশি দেশটির বাইরে ছিলেন। জিএসএমএ’র ধারণা, এবারে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ভ্রমণ করবেন পাঁচ থেকে ছয় হাজার গ্রাহক।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার, আর এতে মারা গেছেন ৭২০ জনেরও বেশি। ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে ভাইরাসটি।
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আয়োজক সংস্থা ‘জিএসএমএ’ জানিয়েছে অনুষ্ঠানস্থলে বাড়তি মেডিকেল কর্মকর্তা রাখার ব্যবস্থা করেছে। আক্রান্ত হওয়া ঝুঁকি ঠেকাতে নানাবিধ নিয়মও জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি; যেমন- কোনো বক্তা মাইক্রোফোনে কথা বলার পর সেগুলো সম্ভাব্য ভাইরাসমুক্ত করে আবারও ব্যবহার করা হবে এমনকি এবারের আয়োজনে হাত মেলানোও বারণ।
সুত্র-যুগান্তর
মেপ্র/আরজেএম