ভারতে মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিয়েছে প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষকে। বুধবার ৮৯ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন।
গায়ে জ্বর থাকায় গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল তার। ১৪ এপ্রিল বিকেলে রিপোর্টে জানা যায় তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
এমনিতেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কবি, যা শারীরিক ভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল তাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে গত জানুয়ারিতে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাকে। পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজারপত্রিকা এমন খবর দিয়েছে।
তাই করোনা সংক্রমণ ধরা পরার পর ঝুঁকি না নিয়ে বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। তিনি নিজেও হাসপাতালে যেতে চাননি।
বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল।কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার সকালে তাকে ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন কবি। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ভেন্টিলেটর খুলে নেওয়া হয়।
জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতার পঞ্চপাণ্ডবের একজন ছিলেন তিনি। বাকি চারজন হলেন শক্তি-সুনীল-শঙ্খ-উৎপল-বিনয়।
১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলার চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন শঙ্খ ঘোষ। তার আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ায় রাইটার্স ওয়ার্কশপেও অংশ নিয়েছিলেন। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিলেন তিনি।
বাংলা কবিতার জগতে শঙ্খ ঘোষের অবদান কিংবদন্তিপ্রতিম। ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তার খ্যাতি সর্বজনবিদিত।