লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের ব্যক্তিত্ব বরাবরই ইর্ষণীয়। তাকে নিয়ে যারা হিংসা করেন, তারাও তার আচরণ হিসেবে আজ অবধি প্রশ্ন তুলতে পারেননি। নিরহংকারী এই কিংবদন্তিকে খুব একটা মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি। না ক্রিকেটে না ব্যক্তিগত জীবনে। যে কোনো জায়গায় হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন তিনি।
কিন্তু করোনা টেস্ট করতে গিয়ে কী হলো শচীনের। হঠাৎ সিরিঞ্জ দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলেন তিনি, যা দেখে রীতিমতো ভেবাচেকা খেয়ে যান স্বাস্থ্যকর্মীরাও। কিছুক্ষণ পর বোঝা গেল আসলে মজা করেই চিৎকার দিয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
ভারতের রায়পুরে সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে ইংল্যান্ড লিজেন্ডসের বিপক্ষে পরে ম্যাচে খেলবে ভারত। মূল লড়াইয়ের আগে বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট করাতে যান শচীন।
সেখানে পিপিই পরা এক স্বাস্থ্যকর্মী শচীনের নমুনা নিতে আসেন। এর পরই নিজের নাক ধরে মুখ বিকৃত করতে থাকেন শচীন। হঠাৎ করে চিৎকার করে বসেন। শচীনকে দেখে ঘাবড়েই যান নমুনা নিতে আসা ওই স্বাস্থ্যকর্মী। ভাবেন, হয়তো বড় কোনো সমস্যা হয়ে গেছে। কিন্তু একটু পর ঘোর কাটে। দেখেন শচীনের মুখে একগাল হাসি। বুঝতে পারেন, মজার ছলেই একটু ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন ‘লিটল মাস্টার’।
ওই ঘটনার ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন শচীন। ক্যাপশনে লিখেছেন—‘আমি ২০০ টেস্ট খেলেছি। আর ২৭৭ বার কোভিড টেস্ট করেছি। মুড হালকা করতে একটু মজা করলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে টেন্ডুলকারের এই ভিডিও।
অবশ্য এই ভিডিওর পাশাপাশি টেন্ডুলকারের আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। নিজের ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিও শেয়ার করেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে— টেন্ডুলকারের কনুইয়ে কয়েকটা সুচ ফোটানো রয়েছে। সেটি দেখিয়ে শচীনের একসময়ের সতীর্থ শেবাগ বলছেন— ‘দেখেন আমাদের ভগবানকে। এখনও খেলা ছাড়ছেন না। সুচ ফুটিয়েও খেলে যাচ্ছেন।’ জবাবে টেন্ডুলকারের আরেক সতীর্থ অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং বলেন— ‘তুমি শের। ও হচ্ছে বব্বর শের। এত সহজে ও হারবে না।’ এই ভিডিওতেও মজা করতে দেখা গেছে সবাইকে।