করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে নোয়াখালীর বিভিন্ন মসজিদে আজান দিয়েছেন মুয়াজ্জিনরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাদের কণ্ঠে ভেসে আসে আজানের সুমধুর ধ্বনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার পর জেলার কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সোনাইমুড়ী, সেনবাগ, কবিরহাট, সুবর্ণচর, সদর ও হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে থেমে থেমে আজান শুরু হয়।
তবে অসময়ে আজানের ধ্বনি শুনে অনেকেই চমকে ওঠেন। কেন কী কারণে রাতে আজান দেয়া হলো, সে বিষয়ে জানতে অনেকেই সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনকে ফোন করে খবর নেন।
চাটখিল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুর মহল্লার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, রাত ১১টার পর হঠাৎ করে বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে আজানের সুর ভেসে আসে। বিশেষ করে রাত ১১টার পর আজান দেয়ায় অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান।
কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুরের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন সময় পদুয়া মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি শুনতে পান। এর কিছুক্ষণ পর আরও কয়েকটি মসজিদ থেকেও আজানের ধ্বনি আসতে থাকে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে কোনো এক মাওলানা জানিয়েছেন জেলার সব
মসজিদ থেকে একযোগে আজান দিলে এবং কালোজিরা দিয়ে লাল চা খেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তাই
জেলার বিভিন্ন উপজেলার মসজিদ থেকে একযোগে আজান দেয়া শুরু হয়েছে।
চাটখিল পৌরসভার ফতেহপুর মহল্লার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব নাসির উদ্দিন জানান, তার মসজিদের মুয়াজ্জিন রাত ১১টার দিকে ফোন করে আজান দেয়ার অনুমতি চাইলে তিনি নিষেধ করেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের আজান দেয়া আইনত অপরাধ। যেসব মসজিদ থেকে আজান দেয়া হয়েছে, প্রশাসন চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আর এ ধরনের আজানের ধর্মীয় কোনো ভিত্তি আছে বলেও তার জানা নেই।
সুত্র-যুগান্তর