বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে স্থবিত করে তুলেছে করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বে মহামারি আকারে ধারন করতে শুরু করেছে ভাইরাসটি। যে ভাইরাসের কারনে পৃথিবিতে লাখো মানুষের প্রান গিয়েছে।
বাংলাদেশেও ইতিমধ্যে একশতর ও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে ২ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং তার ভিতরে একজন মারা গিয়েছে। আর এই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারা বাংলাদেশের মত মেহেরপুরেও চলছে বিভিন্ন ধরনের প্রচারনা। তার-ই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে চলেছে।এছাড়া পুলিশ প্রশাসন,স্বাস্থকর্মি, জনপ্রতিনিধিগন সকলেই করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রচারনা চালাচ্ছে। এদিকে, নিজের জীবন ঝুকির মধ্যে রেখে প্রশাসনকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনির নিজ উদ্যেগে তৈরি করা কোভিট-১৯ ভলেন্টিয়ার সদস্যবৃন্দ। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগনকে ঘরে থাকতে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বার বার করে আহব্বান জানাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা। চালিয়ে যাচ্ছে দিনব্যাপি প্রচার প্রচারনা।
ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গ্রহন করা কয়েকটি উদ্যেগকে সুন্দর সুষ্ট ও নিরলশ পরিশ্রম করে সফল করে তুলেছে স্বেচ্ছাসেবক সদস্যবৃন্দ। কয়েক সপ্তাহ আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি সাপ্তাহিক হাটে নতুন পদ্ধতি চালু করেন। যার নাম দেওয়া হয় বক্স সিস্টেম হাট ম্যানেজমেন্ট। তিনি চিন্তা করেন বক্স সিস্টেম হাট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যেমে বাজার করতে যাওয়া জনগনের সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করা যাবে। আর এই ব্যাবস্থাপনা সফল করতে সকল ধরনের সহযোগিতা করেছেন মুজিবনগর কোভিট-১৯ ভলেন্টিয়ার সদস্যবৃন্দ। তাদের নিরলস পরিশ্রমে বর্তমানে মুজিবনগর উপজেলার সকল হাটে একই সিস্টেমে চলছে এই ব্যাবস্থাপনা। আর এই হাট ব্যাবস্থাপনা বর্তমানে মুজিবনগর ছাড়িয়েও সারা বাংলাদেশে ছরিয়ে পরিছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হাটগুলোতে বক্স সিস্টেম হাট ব্যাবস্থাপনার চিত্র দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে মুজিবনগরে দুইজন করোনা সনাক্ত হয়েছে তার ভিতরে একজন মারাও গিয়েছে। আর তাকে দাফন করতে গিয়ে সংস্পর্শে আসায় ইউএনও,ডাক্তার ও তদন্ত ওসিসহ কয়েকজনকে থাকতে হয়েছে হোমকোয়ারিন্টিনে। তবে ইউএনও হোমকোয়ারিন্টেনে থাকায় বাইরে বের হতে পারছেন না। পারছেন না জনগনের দারে দারে গিয়ে সচেতন করতে। কিন্তু ইউএনওন নির্দেশে সকল স্বেচ্ছাসেবকগন চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রচার প্রচারনা। স্বেচ্ছাসেবকদের ভিতর থেকে দারিয়াপুর গ্রামের জাহিদ হাসান রাজিব জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে আমরা জনগনকে সচেতন করতে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করছি। সরকারী নির্দেশ অমান্য করেও যারা চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান খুলে জনসমাগম করছে তাদেরকে বার বার করে দোকান বন্ধ রাখার জন্য বলে আসছি।রাস্তা ঘাটে, মসজিদে একদিন-দুইদিন পর পর জিবানুনাশুক স্প্রে করছি। তাছাড়া সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যাক্তিগত নিজেদের কোন প্রটেকশন নাই। তারা প্রটেকশন ছাড়ায় ঝুকিপূর্ন অবস্থায় কাজ করে চলেছে।এরপরেও আজকে দেশের এই বিপদ সম্মুক্ষে প্রশাসনের পাশে দাড়াতে পেরে আমারা নিজেরা গর্ভবোধ করছি।
মানিকনগর গ্রামের হাসানুজ্জামান লাল্টু বলেন, ইউএনও স্যারের নেতৃত্বে আমরা মানিকনগর স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রতিটা দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।আমাদের এলাকায় থাকা অসহায় ব্যাক্তিদের সব সময় সেবা করে চলেছি। কারও ঘরে খাবার না থাকলে সেটা ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে তার বাসায় খাবার পৌছে দেয়ার ব্যাবস্থা করছি। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে উদ্বৃদ্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা সকলকে সচেতন করছি। যতদিন প্রযন্ত আমাদের জিবন থাকবে ততদিন প্রযন্ত আমরা এভাবেই করোনা মোকাবেলা করে যাবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনী বলেন, করোনা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থকর্মি ও জনপ্রতিনিধি বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সাধারন জনগনকে সচেতন করতে আমাদের একার দ্বারা সম্ভব না। তাই জনগনকে সচেতন করতে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মুজিবনগর কোভিট-১৯ স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা সব সময় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আর হাট-ব্যাবস্থাপনার বিষয়ে আমি শুধুমাত্র সিদ্ধান্তটুকুই নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা নিরলশ ভাবে পরিশ্রম করেছে। তাদের এই পরিশ্রম ছাড়া হয়তো আমি এই ব্যাবস্থাপনাটিতে সফল হতে পারতাম না। আর এই দূসময়ে তাদের পাশে পেয়ে নিজেকেও খুব ভাগ্যবান মনে করছি।