করোনায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা এখন ইতালির। করোনার ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সেরি-এ লিগের ফুটবলাররাও বড় ক্লাবগুলোর মধ্যে জুভেন্টাসের পর এবার করোনার রোষানলে পড়ল এসি মিলান। ইতালির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ও এসি মিলানের বর্তমান টেকনিক্যাল পরিচালক পাওলো মালদিনি এবং তার ছেলে দানিয়েল মালদিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই খবর নিশ্চিত করেছে এসি মিলান। দানিয়েল ক্লাবের যুব দলের ফরোয়ার্ড। গত মাসে মালদিনি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে মিলানের জার্সিতে সেরি-এ লিগে অভিষেক হয়েছে তার। দানিয়েলের দাদা সিজার মালদিনিও খেলেছেন মিলানের জার্সিতে। তবে মালদিনি পরিবারের সবচেয়ে বিখ্যাত সদস্য ৫১ বছর বয়সী পাওলো মালিদিনি। পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার ক্যারিয়ারের পুরো সময় কাটিয়েছেন মিলানে।
বাবা-ছেলে দু’জনই গত দুই সপ্তাহ স্বেচ্ছা আইসোলেশনে ছিলেন। তাদের মাধ্যমে তাই সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি নেই। পুরোপুরি সেরে না ওঠা পর্যন্ত তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। একইদিনে জুভেন্টাসের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। তার বান্ধাবী ওরিয়ানা সাবাতিনিও করোনায় আক্রান্ত। তবে পরীক্ষার বেশ আগেই সংক্রমণের আভাস পেয়ে বান্ধাবীকে নিয়ে তুরিনে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন দিবালা। দু’জনই এখন সেরে ওঠার পথে।
এদিকে চাইনিজ সুপার লিগের প্রথম ফুটবলার হিসেবে কাল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাবেক ম্যানইউ তারকা মারুয়ান ফেলাইনি। চীন থেকে করোনা প্রথম ছড়ালেও দেশটির ঘরোয়া লিগের কোনো ফুটবলার এতদিন তাতে আক্রান্ত হননি। করোনাকে প্রায় হটিয়ে চীনে যখন সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তখনই এলো ফেলাইনির আক্রান্ত হওয়ার খবর। গত মৌসুমে ম্যানইউ ছেড়ে চীনের শানডং লুনেং ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
গত ২০ মার্চ করোনা পরীক্ষার দিনে চীনের জিনান প্রদেশে ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন ফেলাইনি। সেই ট্রেনের সব যাত্রীই এখন ঝুঁকিতে। ফেলাইনি আক্রান্ত হয়েছেন চীনে। আর লা লিগার ক্লাব এস্পানলে খেলা চীনের সবচেয়ে বড় তারকা উ লেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন স্পেনে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস করুণা করছে না কাউকেই। মেক্সিকান ফুটবল লিগের সভাপতি এনরিক বোনিল্লাও কাল করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন।
সুত্র-যুগান্তর