দেশে করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৯৭১ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত ২১ জন চিকিৎসক মারা গেলেও তিনজনের মৃত্যু করোনায় নয় বলে জানিয়েছেন ডক্টরস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ডা. নিরুপম দাশ।
করোনার কারণে দেশের একের পর এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মৃত্যুবরণ করা একটি জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। ডাক্তারদের জন্য মানবতা প্রদর্শনের জন্য না, জনগণের চিকিৎসা নিশ্চিত করতেই ডাক্তারসহ সব স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্ষা করা, তাদের সাহস ও প্রণোদনা প্রদানে গুরুত্ব দিতে বলেছেন তারা।
করোনায় দেশে প্রথম গত ১৫ এপ্রিল প্রাণ হারান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। এরপর থেকেই এই সারি দীর্ঘ হতে থাকে। মারা যান অধ্যাপক কর্নেল (অব.) ডা. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক মেজর (অব.) ডা.আবুল মোকারিম, ডা. আজিজুর রহমান রাজু (তিতাস গ্যাস), ডা. এমএ মতিন (মৌলভীবাজার), ডা. আমিনা খান (গাইনিকোলজিস্ট), ডা. আ. রহমান (সিনিয়র কনসালটেন্ট, রংপুর), অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন (অর্থোসার্জারি), ডা. তাজ উদ্দিন (শিশু হাসপাতাল), ডা. সাইদুল ইসলাম (এসবিএমসি ১ম ব্যাচ), ডা. ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ (এমএজিওমেক), প্রখ্যাত ইউরোলজিস্ট ডা. মঞ্জুর রশীদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান (ফরেনসিক মেডিসিন), সহযোগী অধ্যাপক ডা. এহসানুল করিম, ডা. এম ওয়াহেদুল হক (এসওএমসি-১০ব্যাচ), ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দীন, অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান (ফরেনসিক মেডিসিন) এবং ডা. মহিদুল হাসান (ইএমও, সিএমসিএইচ)।
এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ডা. জাফর রুমি (মা ও শিশু হাসপাতাল), ডা. দিলরুবা কাজী (এসওএমসি) এবং অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান (সার্জারি, এমএমসি)। তবে তাদের মৃত্যু করোনায় নয় বলে নিশ্চিত করেছে ডক্টরস ফাউন্ডেশন।