করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি রক্ষায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের যে প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছিল- তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতি রক্ষায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে সরকারকে প্রস্তাব দেন।
বিকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনীতির সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিএনপি এই প্রস্তাব দিয়েছে। এতে সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকটের এই সময়ে মির্জা ফখরুলের মতো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যখন কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে বক্তব্য রাখেন, তখন জাতি হতাশ হয়। তার বক্তব্য আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়া একজন দিশেহারা রাজনীতিকের অসংলগ্ন প্রলাপ ও ব্যর্থতার বেসামাল বহিঃপ্রকাশ।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীতে যখন সারা বিশ্বে সব মানুষ একযোগে এই সংকট মোকাবেলায় এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছে, তখন অর্বাচীনের মতো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাখা বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করে। তাদের এই বালখিল্যতার কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন- তা আমাদের অর্থনীতির ঊর্ধ্বগামী সম্ভাবনার বিপরীত। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য জনগণকে শুধু হতাশই করতে পারে, আর কিছু নয়।
আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগের এই মুহূর্তে বিভেদ নয়, এটা তাদের (বিএনপি) বোধগম্য নয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণকে সতর্ক, সচেতন ও দায়িত্বশীল করার কাজ করে চলেছে। সারা বিশ্বের নেতারা করোনা সংক্রমণ নিয়ে দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর মির্জা ফখরুলরা ও তাদের দল এই সংকটকে ঘনীভূত করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে জনগণের ঐক্যের দুর্গকে নস্যাৎ করতে চায়।
সুত্র-যুগান্তর