দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে এ্যাপোলো ক্লিনিকে সিজারিয়ানের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জান্নাতুল খাতুন নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রসূতির মৃত্যু হলেও তাঁর যমজ দুটি বাঁচ্চা বর্তমানে সুস্থ আছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জান্নাতুল খাতুন উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে জান্নাতুলের পেইন উঠলে আমরা মনে করেছিলাম নরমালেই ডেলিভারি হবে। কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাত সাড়ে আটটার দিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত এ্যাপোলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করি।
পরে রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ডা. হাসানুজ্জামান নুপুর এসে সিজারিয়ান অপারেশন করে যমজ দুটি বাঁচ্চা বের করেন এবং চিকিৎসা দিয়ে চলে যান। পরে প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু ও শরীরে ঝাকুনি চলে আসে।
পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়ে এ্যাপোলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. হায়দার আলী জানান, ‘প্রসূতির পেইন ওঠে দুপুরের দিকে।
কিন্তু পরিবারের সদস্যরা নরমাল ডেলিভারি হবে বলে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসেনি। পরে নরমাল ডেলিভারি না হওয়ায় রাত ১০টার দিকে আমাদের এখানে নিয়ে আসলে আমরা আমাদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করি।
ডাক্তার রাত পৌনে ১১টার দিকে এসে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে যমজ দুটি বাঁচ্চা বের করেন। বাঁচ্চা বের করার প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁর শরীরে ঝাকুনি আসলে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সে মারা যায়।