মুজিববর্ষ উপলক্ষে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ নতুন বাড়ি উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সীমিত সম্পদেই সবার ঠিকানা করে দেবে সরকার।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অসহায় পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস। এসময় তিনি জানান, দুঃস্থ মানুষগুলোর ঘর যাতে মানসম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে তদারকি করছেন।
প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা ঘর নির্মাণে অতুলনীয় কাজ করেছে বলেও জানান আব্দুল করিম বিশ্বাস। খুব শিগগিরই কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে ২০ জন নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। আরও বলেন ঘরগুলো প্রত্যেকটি গৃহহীন পরিবারে স্বপ্ন। এই স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।
আর মুজিব শতবার্ষিকীতে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেকটি পরিবারকে দুই শতক জমিনসহ বুঝিয়ে দিবে তাদের স্বপ্নের পাকা ঘর।
স্বপন নামে একজন ভূমিহীন বলন, আমার বাড়ি কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনে। আমরা পরের ভিটায় থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমারে জমিসহ ঘর দিচ্ছে। আমার সন্তানদের নিয়ে পরের জমিতে থাকতি হবে না। এখন আমি আর ভূমিহীন ঘরহীন না।
আমি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করি। তিনি যেন মানুষের কল্যাণে আরো কাজ করতে পারেন। অপর একজন সুবিধাভোগী বলেন, “আমাদের সংসারে পাঁচজন লোক। মাঠে ঘাটে কাজ করে খাই। আমার কোনো জমি নেই। প্রধানমন্ত্রী জমি ঘর দিচ্ছেন। এ পেয়ে আমি খুব খুশি। বিনামূল্যে জমি-ঘর পাবো কোনোদিন ভাবিনি।
উপকারভোগী শাহিনুর বেগম বলেন, “আমার জায়গা জমি ছিলো না। পরের বাড়ি কাজকর্ম করতাম ও পরের বাড়িতে থাকতাম। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। আমাদের কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস এর সহযোগিতায়। জায়গা দিচ্ছে, ঘর দিচ্ছে- আমি তাতে অনেক খুশি। চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের জন্য নামাজ পড়ে মোনাজাত করব। আমাদের মতো গরিবদের পাশে যেন সে সারা জীবন থাকতে পারে। আমাদের চোখের পানিটা যেন মুছে যায়। দোয়া করি আব্দুল করিম বিশ্বাস সারা পৃথিবীর কাছে সম্মান পায়।