নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পালাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ ডাকায় সংঘাত এড়াতে পৌরশহরে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ কালিয়া উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের ২টি কমিটি গঠন করলে তার বিপরীতে পদবঞ্চিতরা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি গঠন করে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ আট বছর পর গত ২২ অক্টোবর নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ উপজেলায় এফ এম সোহাগকে সভাপতি ও রাইসুল ইসলাম পান্নুকে সাধারণ সম্পাদক এবং এমএম তানবীরুল ইসলামকে সভাপতি ও প্রশান্ত কুমার দাশকে সাধারন সম্পাদক করে কালিয়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে পদবঞ্চিতরা।
পরদিন ২৩ অক্টোবর তারা জেলা ছাত্রলীগের গঠন করা কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এসময় ইয়ামিন বিশ্বাসকে সভাপতি ও মহিবুল হক অনিককে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা এবং নিয়ামত হোসেনকে সভাপতি ও রাইসুল ইসলাম হৃদয়কে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি গঠন করে।
পরে নিজ নিজ গ্রুপের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাতে উভয় পক্ষ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। এতে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাই সংঘাত এড়াতে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কালিয়া পৌরশহরে সকল ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিলসহ অস্ত্র গোলাবারুদ বহন নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ একই সময়ে পৌরশহরে মিছিল ও সমাবেশ আহ্বান করায় সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।