সারাদেশের ন্যয় কালীগঞ্জেও ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ প্রচারণা থাকলেও বাস্তবায়নে কোন তোড়জোড় চোখে পড়ছে না। উপজেলায় গণপরিবহণ চলাচলে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। রাস্তা ঘাট, হাট বাজার ও গণপরিবহণে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাচল করছে মানুষ।
স্বাস্থ্য সচেতনদের দাবি প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক ব্যবহারের জরিমানা ও সাজা প্রদান কমে আসায় মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের অনিহা দেখা দিয়েছে।মাস্ক ছাড়া যে কোন সেবা প্রদান করা থেকে বিরত থাকার কথা থাকলেও গণপরিবহণে এর কোন বালাই নেই, যাত্রীরা মাস্ক ছাড়াই উঠছে গণপরিবহণে। এছাড়া অধিকাংশ গাড়ি চালকদের মুখেও নেই মাস্ক। দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ থাকলেও তা মানছে না চালকরা এবং বাসে উঠার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করার শর্তও মানছে না তারা।
সাগর নামের এক যাত্রী বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক আনতে ভুলে গেছি আর এখন তো করোনায় মানুষ মরে না অযথা কেন মুখ আটকিয়ে রাখবো। যারা বেশি সচেতন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনেক যাত্রী মন্তব্য করেন, তারা প্রতিনিয়ত মাস্ক ব্যবহার করেন তবে এখন নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় খুলে রাখছে।
শাপলা পরিবহনের এক হেলপার বলেন, সকাল বেলায় মাস্ক নিয়ে বের হয়েছিলাম কিন্তু কোথায় যেন পড়ে গেছে মনে নেই। গাড়িতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া নিষেধ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের ছোট গাড়ি অতিরিক্ত যাত্রী না নিলে তেলের টাকা উঠে না। কত দিন পর পর গাড়ি জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে স্প্রে করেন এমন প্রশ্নে তিনি হেসে দিয়ে বলেন, এটা আবার কি কন গাড়িতে আবার কিসের জীবানু।
পূর্বাশা পরিবহনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, গাড়িতে অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই আমরা ছোট কাজ করি যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহারের কথা বললে মারধর করতে আসে। ‘নো মাস্ক নো র্সাভসি’এ কথাটি আমিও শুনেছি তবে আমরা-তো গরিব মানুষ যাত্রী না উঠলে গাড়ি চলবে না আর গাড়ি না চললে না খেয়ে মরতে হবে সেই জন্য করোনার ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিনিয়ত মাস্ক ব্যবহারের জন্য মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান করছে, তারপরও এ বিষয়ে সাধারন মানুষের মাস্ক ব্যবহার নিয়ে আগ্রহ পাওয়া যাচ্ছে না, করোনার ২য় ধাক্কা মোকাবিলায় যা খারাপ একটি ইঙ্গিত বহন করছে করছে বলে কালীগঞ্জের সচেতন মহলের মনোভাব।