ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আলাইপুর গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্ষাতনকারী সেই আলোচিত সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়েছে। এখন থেকে সে আর ওই গ্রামের দাসপাড়াতে আসতে পারবে না।
সেই সাথেই গ্রামের মধ্যে কোন দোকানে তাসের আড্ডা বা রাতে দোকান খোলা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৯ টায় আলাইপুর দাসপাড়াতে গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে এ কঠোর সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন।
এ সময়ে পূজা পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও স্থানীয় আ’লীগের নেতৃবৃন্দ সহ গনমাধ্যমের কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনকারী ১ নং সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও পাশর্^বতী আলুকদিয়া পাড়ার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী কর্তৃক ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদি হয়ে উঠে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
গত শনিবার রাতে ওই গ্রামের সকল মানুষের উপস্থিতিতে সভাতে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজী আনার বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নীরিহ মানুষের উপর নির্যাতনকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে ওই মিজানুরকে সেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথেই সেচ্ছাসেবক লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটিকেও বিলুপ্ত করা হয়েছে।
সভাতে গ্রামবাসীদের কথা শুনে তিনি সিদ্ধান্ত দেন, এখন থেকে মিজানুর আর এ পাড়াতে আসতে পারবে না। তাকে গ্রামের বাইরে দিয়ে চলাচল করতে হবে। যদি সে পূনরায় এ গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক আইনের কঠোরতম ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।
এমপি আরো বলেন, গ্রামের মানুষদের শান্তিতে বসবাসের জন্য রাতে এ গ্রামে কেউই দোকান খোলা রেখে আড্ডা বা তাস খেলা করতে পারবে না। এমপির এমন কঠোর সিদ্ধান্ত ঘোষনায় উপস্থিত গ্রামবাসীরা করতালীর মাধ্যমে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ সহ তাকে অভিনন্দন জানান।
এ শালিশ বৈঠকে কালীগঞ্জ উপজেলা পূজা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা, প্রশান্ত কুমার খা, উজ্জল অধিকারী, বাবু মন্টু গোপাল, আ’লীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গনমাধ্যমের কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।