সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মদিন আজ। কিন্তু এই কিংবদন্তি এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রায় তিন বছর আগে চলে গেছেন পৃথিবী ছেড়ে। ১৯৬০ সালের এই দিনে (৩০ অক্টোবর) আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। সেদিন কে জানতো সদ্যভূমিষ্ট এই শিশুকে দেওয়া হয়েছে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুরধার মেধা আর ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাম পা!
কারো কাছে তিনি আবার পরিচিত সাক্ষাৎ ঈশ্বর হিসেবেও। আবার কারো কাছে তিনি বিদ্রোহী। যেভাবেই ডাকা হোক না কেন, তিনি দিয়েগো ম্যারাডোনা। বল পায়ে দক্ষ নিয়ন্ত্রণ, চিতার বেগে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়াসহ আরও অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত আর গোল বিশ্বসেরা ফুটবলারের বিতর্কে তাকে রেখেছে বেশ উঁচু স্থানে।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে তার অসাধারণ নৈপুণ্যে দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেই আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ‘হ্যান্ড অব গড গোল’ ও শতাব্দীর সেরা গোলটি। এরপর ১৯৯০ বিশ্বকাপেও দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। সেইবার আর দলকে বিশ্বকাপ জিতাতে পারেনি ম্যারাডোনা। ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ক্যারিয়ারে আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা মোট গোল করেছেন ৩৪৬টি।
মাত্র দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা খেলেছেন ছয়টি ক্লাবে। ১৬ বছর বয়সে পা দেওয়ার ঠিক দশদিন আগে নিজ শহরের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। বর্তমানে তাদের হোম গ্রাউন্ডের নামকরণ করা হয়েছে ম্যারাডোনারই নামে।
ক্লাব ক্যারিয়ারে বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলিসহ নানা ক্লাবে খেলেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নাপোলিকে একক কৃতিত্ব চ্যাম্পিয়ন করা। তিনি ক্লাবটির অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে ক্লাবটিকে নিয়ে যান ইতিহাসের সফলতম পর্যায়ে।
ফুটবল বিশ্বের অনন্য এই জাদুকরের মৃত্যু ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর। তার মৃত্যুর পরেই নাপোলি শিরোপা জিতেছে, আর্জেন্টিনা জিতেছে বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনা তার জীবদ্দশায় সেই অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পারেননি। জন্মদিনে এটিই হয়ত আর্জেন্টিনার ভক্তদের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।
সূত্র: ইত্তেফাক