কুমারখালি উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের বাড়ী থেকে লুট হওয়া তিনটি গরু সদর উপজেলার আলামপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গরু তিনটির দাম প্রায় আট লাখ টাকা।
আজ শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন জানান, পাহাড়পুর এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনের বেলায় লাল্টু বাহিনীর সদস্যরা মৃত চাঁদ আলী শেখের ছেলে মোঃ মতিয়ার রহমান, তার ছেলে হাবিবুর রহমান সজিব সহ আরও কয়েকজন মিলে আমার বাড়ীর দুইটা ফ্রিজিয়ান ও একটি ষাঁড় গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে কুমারখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি ওসি নজরুল ইসলাম। বিষয়টি নথিভুক্ত না করে মৌখিকভাবে দেখবেন বলে জানান তিনি। পরে বিষয়টি কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সন্ধান নিতে থাকে। এক পর্যায় তিনি জানতে পারেন লুটকৃত গরু তিনটি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার ছেলে মাওলানা ফারুক আজম জিহাদীর বাড়ীতে রয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের মধ্যস্ততায় গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, কুমারখালি উপজেলা চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের বিল্লালের বাড়ী থেকে তিনটি গরু লুট করে নিয়ে যায় লাল্টু বাহিনীর সদস্যরা।
দহকোলা গ্রামের মাওলানা ফারুক আজম জিহাদীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ৩ টি গরু উদ্ধার করে। গরু উদ্ধার করতে পারলেও কাউকে আটক করতে পারে নি।
আলামপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ফিরোজ জানান, কুমারখালি উপজেলার পাহাড়পুর এলাকা থেকে লুট হওয়া তিনটা গরু মোঃ মতিয়ার রহমান তার শশুর বাড়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দহকোলা গ্রামের মৃত আবের আলী মালিথার বাড়ীর গোয়ালঘরে রেখে আসে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গরু তিনটি উদ্ধার করে গরুর মালিক বিল্লাল হোসেন ও কুমারখালি থানার বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এমদাদুল এর কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।