কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে জামির হোসেন (৫৪) নামের এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে চিহ্নিত করছেন বলে জানান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশরাফুল আলম।
মৃত সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি জামির হোসেন নীলফামারী জেলার মৃত আকবর আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানালপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলবন্দি হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. তায়েফ উদ্দিন মিয়া জানান,গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি জামির হোসেন বুকের ব্যথ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে জেল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, জামির হোসেন ১৯৯৭ সালের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন। আর মাত্র কয়েকদিন পরই সাজা খেটে তার বের হওয়ার কথা ছিলো।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে জামির হোসেন নামে যে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিলো তিনি কার্ডিয়াক এ্যাটাকজনিত কারণে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাত ১২টার দিকে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত জামির হোসেনের একমাত্র ওয়ারিশ তার কন্যা সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানালপাড়ার বাসিন্দা চাঁদনী খাতুন (২৫) মরদেহ গ্রহণ করার জন্য জেলগেটে অপেক্ষা করছিলেন।
তিনি বলেন, আমার মা রুমা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে মারধর করতে গিয়ে মা মারা যান। সেই মামলায় আব্বা জেল খাটছিলো। আর কয়েকদিন পরই জেল খেটে বের হওয়ার কথা ছিলো। তবে জীবিত না মৃত অবস্থায় বের হবেন।