সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছে কুষ্টিয়ার মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলো। তবে, অধিকাংশ বিদ্যালয় অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নপত্রের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু নিচ্ছে ১০ টাকা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুণ্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শান্ত, মিরপুর উপজেলার আশাননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিল হোসেন, আবুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিক আলী, আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান ও সদরপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ঋতু খাতুন বলে, ‘স্কুল থেকে দেওয়া প্রশ্নপত্রের জন্য ১০ টাকা করে নিচ্ছেন স্যাররা। আর স্কুল থেকে না কিনলে বাজারের ফটোকপির দোকান থেকেও নগদ টাকায় সংগ্রহ করা যাচ্ছে’।
আশরাফুল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক বলেন, ‘স্কুল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছিল। ছেলে-মেয়েরা লিখে জমা দিচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ স্কুলে গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট আনতে পারেনি। সে ফটোকপির দোকান থেকে দশ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করছে। এতে খুব ভালো হয়েছে। যার যার সুবিধামতো নিতে পারছে।’
এ বিষয়ে খলিসাকুণ্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ও কভার পেজ দিচ্ছি। তারা সেগুলো ফটোকপি করে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের সুবিধার জন্য বলেছি, তারা চাইলে বিদ্যালয়ের অফিস থেকে কিংবা ফটোকপির দোকান থেকে প্রশ্নপত্র নিতে পারবে।’
মিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্টের কোনো টাকা নেওয়া যাবে না, নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জায়েদুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও দাখিল মাদ্রাসায় অ্যাসাইনমেন্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের কোনো অভিযোগ পাইনি’। কোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্টের জন্য টাকা নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।