কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাতপুর গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগ সমর্থিত দুই পক্ষের সংঘর্ষে আজিম মন্ডল (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫জন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক পক্ষের নেতা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ এবং পতিপক্ষ আবু বক্কর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দ্বন্দের জেরে দুপক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় আব্দুল মজিদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত আজিম মন্ডলকে প্রতিপক্ষের লোকজন স্থাণীয় একটি গোরস্থানের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় উভয়পক্ষের আরও ৫জন আহত হয়। আহতরা হলেন, আলাল মন্ডল, মতিয়ার মন্ডল ও রাব্বানী। অপর দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, স্থানীয় ভাবে ওরা দল করুক বা না করুক কেউই আইনের উর্দ্ধে নয়। দল করলেই দলের নাম ভাঙ্গিয়ের যা খুশি তা করতে দেয়া হবে না। উজানগ্রামের যারাই সংঘর্ষে লিপ্ত হোক বা শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ হত্যাকান্ড ঘটান তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। দল করলেই এসব করে কেউ পার পাবেন না। ইতোপূর্বেও ওই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিম নামের এক ব্যাক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আটক করতে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে এপক্ষের নেতা আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য ইতোপূর্বেও এই দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও একাধিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিবদমান এই দ্বন্দ মেটাতে একাধিকবার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু কোন উদ্যোগের সুফলই স্থায়ীত্ব পায়নি বলে জানায় ভুক্তভোগী এলাকাসী।