কুষ্টিয়ায় ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ভিজিডি চক্রে সচ্ছল ব্যক্তির নাম-পরিচয় ব্যবহার করে চাল উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবুর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক মো. এনামুল হক জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুস সামাদের স্ত্রী রুবিনা খাতুনের নাম ব্যবহার করে ভিজিডি চাল উত্তোলন করে আসছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু। বিষয়টি জানাজানি হলে, আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারটি সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে ভুক্তভোগী রুবিনা খাতুনের ভাই রিফাইাতপুর গ্রামের মৃত. আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. মুন্না বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মনোয়ার হোসেন মুকুল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে আমার মক্কেলের নামে সরকারের মহতি উদ্যোগ ভিজিডি কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। ভুক্তভোগী পরিবার সচ্ছল হওয়ায় ভিজিডি কর্মসূচির তালিকায় তার নাম থাকায় সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হন। এ ঘটনায় মামলা করেন তারা।
আদালতে আসামির জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযোগ আছে রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডির তালিকায় অনেক সচ্ছল ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ভিজিডি কর্মসূচির চাল উত্তোলন করে আসছেন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ওয়ার্ড সদস্যরাও।
জানা যায়, রুবিনা খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে তার (রুবিনা) নামে একটি ভিজিডি কার্ড তৈরি করেন ইউপি চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু। ওই চেয়ারম্যান রুবিনার ভিজিডি কার্ডের বিপরীতে ২০১৯-২০ বরাদ্দ হওয়া সরকারি চাল নিয়মতি আত্মসাৎ করেন। কিন্তু রুবিনা এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে, রুবিনা স্থানীয় মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, তার নামে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ভিজিডি কার্ড রয়েছে। সেই কার্ডে নিয়মিত চাল উত্তোলন হয়ে আসছে। তার কার্ড নম্বর ৫১।