কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরও ২২০ জন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সুত্রে এ তথা জানা গেছে।
এদিকে, পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২০ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন জানান, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও করোনা রোগীদের জন্য ২০০টি শয্যা ব্যবহার করা হচ্ছে।
আর এই ২০০টি শয্যার বিপরীতে বর্তমানে করোনা পজিটিভ নিয়ে ২০২ ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ৮৭ জনসহ মোট ২৮৯ জন ভর্তি রয়েছে। অতিরিক্ত করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন এখানকার চিকিৎসক ও সেবিকারা। তাঁরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও করোনা রোগীদের সর্বাত্বক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি রোগীদের চাপের কারণে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ ওষুধই রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ওষুধ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার।
তিনি বললেন, বগুড়া থেকে ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ওষুধ যেমন নেই, তেমনি ঘাটতি আছে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার। মাত্র ২১টি যন্ত্র রয়েছে, চাহিদার তুলনায় যা খুবই কম। আরএমও জানান, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক নাসিমুল বারী ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা দেন।
সরকারিভাবে চারটি আইসিইউ শয্যা থাকলেও সেটা নামমাত্র। শুধু শয্যা আছে, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। এদিকে, চলমান বিধিনিষেধে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও যত দিন যাচ্ছে তত বেশি মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তারা।
এর মধ্যেই সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে দিনভর অভিযান চালিয়ে ৬৩ জনের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।