কঠোর বিধিনিষেধে শ্রমিক ও অর্থ সংকটের কারণে জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না কুষ্টিয়ার কয়েকজন কৃষক। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ সেখানে ছুটে যান।
জেলা তাঁতী লীগের ২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে শুক্রবার সকালে ক্ষেতের ধান কেটে মাড়াই করে দেওয়া হয়।
হঠাৎ করেই তাঁতী লীগ নেতাকর্মীদের কৃষকের ক্ষেতের ধান কাটতে দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সচেতন মহলসহ স্থানীয়রা।
সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের কৃষক ফরজ আলীর দেড় বিঘা জমির ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।
কুষ্টিয়া জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনাকালীন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগ। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কুষ্টিয়া জেলায় দল বেঁধে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিলাম।
কৃষক ফরজ আলী জানান, নিজের দেড় বিঘা জমিতে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাবো কিন্তু সে অবস্থা আমার ছিলো না। ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি নিয়ে সংসার আমার। কষ্ট করে ধানের আবাদ করেছি। যাতে করে সারা বছর এ ধান থেকে চাল করে ভাত খেতে পারি। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারনে ধান কাটতে পারিনি। আজকে তাঁতী লীগের নেতাকর্মীরা আমার জমির ধান কেটে দেওয়ায় আমি ভীষণ খুশী।
এসময় জেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম বকুল, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাশেম আলী খান, সদস্য হেলাল উদ্দিন, মিরপুর উপজেলা তাঁতী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল আলীসহ বিভিন্ন পযার্য়ের নেতাকর্মীরা এ ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।