ব্রি উদ্ভাবিত আমন মৌসুমের আধুনিক ধানের জাত ব্রি ধান ৮৫ এর প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের নওদা শামুখিয়া এলাকায় ব্রি-ধান-৮৫’র কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামানিক।
এ সময় তিনি চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৮৫ চাষে অন্য ধানের তুলনায় দ্বিগুণ ধান উৎপাদন সম্ভব। প্রচলিত জাত ব্রি ধান৪৮ থেকে ব্রি ধান৮৫ এর দানা চিকন ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন।
তিনি আরও বলেন, আউশে দুর্যোগ কম হয়। প্রাকৃতিক বৃষ্টির ফলে সেচ কম লাগে। তাই এই ধান বেশি বেশি করে লাগাতে হবে। নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট। ঠিক নিয়মে চাষাবাদ করতে পারলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতিবছরই কৃষক ভালো ফলন পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আফসানা আনছারী, ব্রি কুষ্টিয়ার এসও মোহাম্মদ রেজোয়ান বিন হাফিজ, তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব, ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম, শিহাবুল ইসলাম, আকরাম হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুষ্টিয়া (ব্রি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইফতেখার উদ্দিন জিতু।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুব রহমান বলেন, দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ফসলের নতুন নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবনে নিরলস গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আউশের জন্য কুষ্টিয়া জেলা খুবই ভালো। ১৯ টা ডিভিশনের মধ্যে কুষ্টিয়া ভ্যারাইটি ধানের জন্য এই ৮৫ ধানের জাত বেশ উপকারী।
সার কম লাগে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যেন অল্প জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করতে পারে এবং খরচ কম হয় সেই চিন্তা করে। তাই কৃষকদের সার খরচ কম লাগে বলে বেশি বেশি করে এই নতুন জাতের ধান চাষ করার আহবান জানান তিনি।
তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান মন্ডল বলেন,তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের তিনভাগের মধ্যে দুই ভাগ পদ্মা নদী গর্ভে চলে গেছে। তাই স্বল্প জমিতে বেশি ধান উৎপাদন করা যায় এর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে কৃষক কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।