করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়া জেলায় চলমান লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। আপাতত আগামী ১ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
রোববার রাত আটটায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০ জুন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে জেলাজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, শপিং মল, দোকান, রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় (মুদি) পণ্য ও ওষুধের দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।
লকডাউন চলাকালে সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। আন্তজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ সব যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকবে। সব সাপ্তাহিক হাট ও গরুর হাট বন্ধ থাকবে। গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা ঘর থেকে বের হবেন, তাঁদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণবিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, গণমাধ্যম, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি তেল ও ফায়ার সার্ভিস চালু থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন। এদিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, গতকাল কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে কুষ্টিয়া জেলার ১২৫ টি স্যাম্পলের টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি স্যাম্পলের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ায় গত পরশুদিন ৫৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এটিই এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। লকডাউনের গত ৬ দিনে জেলায় ৭৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩২ জন। চিকিৎসা –সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সঠিক সময়ে লকডাউন না দেওয়া ও বাস্তবায়ন না করায় এমন হতে পারে।