কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন বিক্রির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিধি লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন বিক্রি করে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তরা হচ্ছে কুমারখালি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ, ইয়াছিন আলী বিশ্বাস ও বাচ্চু শেখ।
রোববার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ওই অভিযোগটি দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ে থাকা চারচালাবিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর, যাতে ইটের পরিমাণ ৪ হাজার ৫০০, যার আনুমানিক মূল্য ৩৬ হাজার টাকা, ১১ বান টিন, যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা, ৩০টি সিমেন্টের খুঁটি, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা এবং ঘরের ব্যবহৃত কাঠের মূল্য ৩০ হাজার টাকা, কাঠ ও বাঁশের মূল্য ৩২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট আনুমানিক মূল্য দেড় লাখ টাকা। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত না করে বাচ্চু শেখের কাছে গোপনে বিক্রি করেন।
বাচ্চু শেখ ৬ মার্চ রাতে বিদ্যালয়ের ভবনটি ভাঙচুর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁরা বাচ্চু শেখের বাড়িতে গিয়ে ভবনের মালামাল দেখতে পান। এ সময় বাচ্চু শেখ তাঁদের বলেন, হারুন অর রশিদের কাছ থেকে এসব কেনা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন অন্যান্য আসামির সহযোগিতায় ঘরটি বিক্রি করেছেন। বিক্রির টাকা হারুন বিকাশের মাধ্যমে সেলিনা খাতুনের কাছে পাঠান। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি দুদক মামলার সিডিউলভুক্ত হওয়ায় থানায় জিডি প্রস্তুত করে জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনারের উপপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।