কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার প্রতিবাদে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাংবাদিকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে থাকে। এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি উপলক্ষে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কুষ্টিয়া এডিটরস ফোরামের সভাপতি মজিবুল শেখের সভাপতিত্বে টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হাসান আলীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচীতে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি) ও কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, কেপিসির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নুরুন্নবী বাবু, এডিটরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম দুলাল,বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি লিটনউজ্জামান, নিউজ২৪-এর প্রতিনিধি শরীফ বিশ্বাসসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাংবাদিক রুবেল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। তা না হলে জেলার সাংবাদিকেরা বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তারা।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের কোনো ঈদ নেই, কোনো আনন্দ নেই। অবিলম্বে রুবেলের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা না হলে কুষ্টিয়া অচল করে দেয়া হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের না ধরতে পারলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার সিঙ্গার মোড়ে হাসিবুর রহমান রুবেল পত্রিকা অফিসে কাজ করছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে তিনি কাউকে কিছু না বলেই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তার সবগুলো মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই সাংবাদিক রুবেলের ছোট ভাই মাহবুব কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গোলাম কিবরিয়া সেতুর নিচে তার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।