বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, কৃতি সাতারুরা কুষ্টিয়ার মান উজ্জল করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখনো বেশির ভাগ সাঁতারু জোগান দিয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা। তাঁদের পরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সবুরা খাতুন, মেরিনা, জুয়েল রানা ও রুবেল রানার মতো সাঁতারুরা। যাঁদের প্রায় সবাই উঠে এসেছেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলা থেকে। এই আমলা এলাকার কৃতি সাতারুরা দেশের মান উজ্জল করেছে। আমিও চাই সকল খেলাধুলায়ও তারা নৈপুন্যতা দেখাক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের এমপির বাসভবনে আন্ত:স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা মোট ২২টি ইভেন্টের মধ্যে ১৬ ইভেন্টে প্রথম হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সাতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করায় শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাঁতারুদের এই সাফল্যের কারণে কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল কুষ্টিয়ায় একটি আধুনিক মানের সুইমিং পুল নির্মাণের। আর এই দাবির প্রতি সম্মান রেখে বর্তমান সরকার কুষ্টিয়ায় একটি আধুনিক সুইমিং পুল নির্মাণ করে, যেখানে চমৎকার আবাসন সুবিধা রয়েছে, যা একটি পূর্ণাঙ্গ সাঁতার একাডেমিসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক সাঁতারুদের নিয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা সম্ভব।
পরে সাঁতারু, কোচ ও প্রশিক্ষক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এমপির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামারুল আরেফীন, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির সাঁতার দলের কোচ আমিরুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুনসহ সংশ্লিষ্টরা উপন্থিত ছিলেন।
মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, কুষ্টিয়ার আমলা ক্রীড়াঙ্গনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে সাঁতারের কারণে। কুষ্টিয়ার এই গ্রাম থেকে অনেক নামকরা সাঁতারু উঠে এসেছেন এবং এখনো সেই পাইপলাইনটা সচল আছে। নানা সমস্যার সম্মুখিন হয়েও আমলার সাঁতারুরা সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২২টি ইভেন্টের মধ্যে ১৬ ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে জেনে আমি ভীষণ আনন্দিত। আগামীতে এই উপজেলা থেকে আরও ভালো কিছু করুক সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির সাঁতার দলের কোচ আমিরুল ইসলাম বলেন, একেবারে নিজের চেষ্টা, আগ্রহে তিনি কোচ হয়েছেন। আন্তস্কুল, আন্তজেলা হয়ে জাতীয় পর্যায়েও সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন; কিন্তু সাফল্য পায়নি। আবার মায়াও কাটাতে পারিনি এই অঙ্গনের, সে কারণেই কোচ হয়ে থেকে যাওয়া। ‘খেলোয়াড়ি জীবনে সাফল্য না পেলেও কোচ হয়ে যদি পারি এ ভাবনাটাও মনের মধ্যে ছিলো বলেও আজও সাঁতার সাঁতার বলে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি।