গাছ কেটে বিক্রি ও কম্পাউন্ডের জমি লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মশিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসের কর্মকর্তা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন,(বিটিসিএল) ঝিনাইদহের প্রকৌশলী আবু জাহিদ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)কোটচাঁদপুর অফিসে গেল তিন বছর হল কর্মরত রয়েছেন,মশিয়ার রহমান। তিনি ওই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি এই কর্মস্থলে যোগদানের পর ওই কম্পাউন্ডের ভিতর থেকে এর আগে কাঠাল গাছ সহ বেশ কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। কম্পাউন্ডের জমি লিজ দিয়ে নিয়েছেন টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছেন একটি একাশিয়া গাছ। যার আনুমানিক দাম ৪ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন,বিটিসিএল গাছ বিক্রি করতে পারেন। আর এ ঘটনাটি স্যার জানেন। স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। আর টাকা স্যারকে দেয়া হয়। তবে তিনি জমি লিজ দেয়া ও অন্যান্য গাছ কেটে বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড( বিটিসিএল) প্রকৌশলি আবু জাহিদ বলেন,গাছ কাটার সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। আর টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা না। তিনি বলেন,আমার বাড়ি এখানেই শৈলকূপায়। ঝিনাইদহের কল্পনা এমপি আছে,ওনাকে তো আপনারা চিনেন। আমরা ওই ফ্যামিলির ছেলে। আপনি মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখবেন আমরা কি ধরনের।
আবু জাহিদ আরো বলেন,মশিয়ার রহমান সাহেব এটা কোন রকম করতে পারেন না। ওনি এটা করে চাকুরীর বিধি লংঘন করেছেন। আমি ঘটনা নিয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। এরপর তদন্ত শেষে ওনার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ঘটনাটি আমার জানা নাই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।