ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া বাওড়ে মাছ লুটে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার জয়দিয়া বাওড়ে মাছ ল্যান্ডিং এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী বাওড় ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল কাদের বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্ল্যেখ পূর্বক অজ্ঞাত নামে কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জয়দিয়া বাওড়ের বাৎসরিক মাছ আহরণের সময় স্থানীয় কিছু লোকজন মাছ ক্রয় করতে মাছের ল্যান্ডিং এ জড়ো হয়। এসময় এলাকার লুটবাজ, ঊশৃংখল হিসাবে পরিচিত লক্ষিকুন্ড গ্রামের খাঁন পাড়ার মোঃ লতিফের ছেলে মোঃ বাবুল খাঁন(২২) ও ভাই বিপুল খাঁন (২৫০, আজিজুর রহমানের ছেলে সুমন (২১) ও একই এলাকার শাহিনুর রহমানের ছেলে বাবলা খাঁন (২৫) সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন যুবক সংঘবদ্ধভাবে ল্যান্ডিং সেন্টারে প্রবেশ করে জোর পূর্বক বে-আইনীভাবে মাছ লুট করার পায়তারা করে।
এসময় অভিযুক্তরা সরকারি শর্ত না মেনে ল্যান্ডিং এ রক্ষিত বিক্রয়ের জন্য রাখা মাছ ক্রয় না করে, বাজারজাত করণের জন্য অক্সিজেন জারের মধ্যে রাখা মাছ জোর পূর্বক লুট করতে যায়। এতে আমি সহ আমার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা একত্রিত হয়ে এলাপাতাড়ি কিল, ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সেই সাথে বাজারজাতের জন্য অক্সিজেন জারের মধ্যে রাখা মাছের গাড়ি আটকিয়ে জারে থাকা ৩৫ হাজার টাকার মাছের ক্ষতিসাধন করে। এছাড়াও তারা আমাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা এলাকার লোকজন এসে আমাদের কে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তরা বলেন, বাওড়ে মাছ আহরণ করলে এলাকার লোকজনের নিকট আগে বিক্রয় করতে হবে। আমরা এসে ছিলাম মাছ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে। কিন্তু আমাদের নিকট মাছ বিক্রয় না করে বাহিরে মাছ পাঠাচ্ছিল।
এব্যাপারে কেটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মঈন উদ্দিন বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ পায়নি। এবং এমন কোন ঘটনাও আমি শুনেনি। লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় বাওড় ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, এব্যাপারে ওসির সঙ্গে কথা বলেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।