কোটচাঁদপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে কয়েল তৈরির কাঁচামাল কারখানা। এতে করে ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগিদের। গতকাল সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুেরর বড়বামনদহ সড়কের একটি কারখানায়।
ভুক্তভোগী রাশেদুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত ২.৩০ মিনিটের সময় কারখানায় আগুন লাগে। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় আমার প্রতিষ্ঠানটি।
কারখানায় নারকেলের মালায় ভেঙ্গে চুর্ন করা হত। করা হত কাঠের গুড়ারও চুর্ন। যা কয়েল তৈরিতে কাঁচা মাল হিসেবে ব্যবহারিত হত।
এ ছাড়া ছিল পুরাতন প্লাস্টিক,পলিথিন পসেসিংয়ের মেশিন। আগুনে মোট ৫ টি মেশিন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে নস্টো হয়েছে কয়েল তৈরির ৬ শ বস্তা কাঁচা মাল,কারখানার আসবাবপত্র। ।
কারখানার মালিক রাব্বি কোটচাঁদপুর কলেজের বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি বলেন, আমার পিতা আব্দুর রহিমের অনেক পুরাতন ব্যবসা ছিল এটা। গেল বছর ইসলামি ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা লোন করা হয়। গড়ে তোলা হয় প্লাস্টিক কারখানাটি।
তিনি বলেন, এ কারখানায় নারকেলের মালায় ভেঙ্গে চুর্ন করা হত। করা হত কাঠের গুড়ারও চুর্ন। যা কয়েল তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারিত হত। সব মিলিয়ে আগুন লেগে ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে আমার।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার আক্কাস আলী বলেন,খবর পেয়ে আমরা রাত ৩.২০ মিনিটের সময় ঘটনা স্থলে পৌছায়। ২ ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর বলা যাবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমান। তবে আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আর উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল।