কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সেলিম হোসেনের কন্যা সুমাইয়া (১০) বাড়ী থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান পাননি তার পরিবার। শিশু সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা সুমাইয়ার পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সেলিমের স্ত্রী ৮বছর পূর্বে শিশু সুমাইয়াকে রেখে অন্যত্র চলে যান। সেই থেকে দাদী রাহেলা বেগম মায়ের আদর দিয়ে শিশু সুমাইয়াকে লালন-পালন করছিলেন। সুমাইয়ার বয়স এখন দশ বছর। পার্শ্ববর্তী পাঁচলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত ১৫ আগস্ট সেলিম হোসেন ও সেলিমের মা দু’জনে সুমাইয়াকে বাড়িতে একা রেখে কোটচাঁদপুর শহরে আসেন কেনা-কাটা করতে। তারা বাসায় ফিরে সুমাইয়াকে আর দেখতে পাননি।
প্রতিবেশীরাও কিছু বলতে পারে না। ৪ দিন বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে সুমাইয়াকে না পেয়ে অবশেষে গত ১৯ আগস্ট কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেছেন নিখোঁজ সুমাইয়ার পিতা দিন মুজুর সেলিম হোসেন। এর পরও সুমাইয়াকে ফিরে পেতে পিতা সেলিম হোসেন ও দাদী রাহেলা বেগম পথে পথে ঘুরছেন। ঘুরছেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দের কাছে।
মেয়েটির উচ্চতা আনুমানিক ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা, মুখোমণ্ডল লম্বাটে, হালকা পাতলা স্বাস্থ্য। হারিয়ে যাওয়ার সময় পরনে ছাপা হলুদ রং-এর ফ্রগ ও হাফ প্যাণ্ট পরিহিত ছিল। কেউ সন্ধান পেলে নিখোঁজ সুমাইয়ার পিতা সেলিম হোসেন মোবাইল-০১৭৫৪-৪৪১৬১৮ নাম্বার অথবা স্থানীয় থানায় জানানোর জন্য বিনীত ভাবে সকলের প্রতি অনুরোধ করেছেন।