প্রতারক মাসুদ রানা পারভেজের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুরের বহিরগাছি গ্রামের সমাজ কল্যান ভবনে এ সম্মেলন করেন তারা। গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের হাসান তারিখ।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ওই গ্রামের ভুক্তভোগি রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,সব্দুল মন্ডল,লিমন মন্ডল,ইদু মন্ডল ও পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ।
হাসান তারিখ বলেন,মাসুদ রানা পারভেজ (৪০)। সে বহিরগাছি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। পারভেজ পিতা-মাতার বড় সন্তান। লেখা -পড়া করা কালীন থেকে সে প্রতারনা শুরু করেন।
ওই সময় এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে চলে যান ঢাকায়। ওখানে অনেক দিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর আগের ঘটনাগুলো চাপা পড়ায় কয়েক বছর ধরে সে গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছেন। ফিরে গেছেন আগের চেহারায়। এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে চাঁদা দাবি করেন পুলিশের ভয় দেখিয়ে। না হয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে।
এবার প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি হাতিয়ার। সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। আর এর সুবাদে পুলিশের সঙ্গে তাঁর ভাল জানাশোনা। এ ভয়ে এতকিছুর পরও ভুক্তভোগিরা নিশ্চুপ ছিল।
আর এ সব প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন,ওই গ্রামের রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,বিকাশ বিশ্বাস, সাকিব হোসন,বাবু,কালিগঞ্জের অনিল বিশ্বাস, অজয় বিশ্বাস ও কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের ছায়েরা বেগম।
আর সম্প্রতি শিকার হয়েছেন সরকারি কর্মচারি ইকরামূল হক। গাছ কাটার বিষয় নিয়ে চাঁদা দাবি করেন পারভেজ। ওই টাকা না পেয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায় তাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেন মাসুদ রানা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও করেছেন ভুক্তভোগী।
এরপর থেকে মুখ খুলতে থাকেন গ্রামবাসী। আয়োজন করেন সংবাদ সম্মেলনের। বিষয়টি নিয়ে মাসুদ রানা পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান বলেন,সকল ভাল কাজের সঙ্গে থাকেন ইকরামুল হক নামের ওই ছেলে। তাকেও সে হয়রানি করেছে। মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সে আমার ভাইপো হলে কি হবে। তার অপকর্মের দায় কে নিবে। আমিও তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মাসুদ রানা পারভেজ বলেন,আমি একটা সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে বাধা দিই। এতে করে তারা আমার উপর রাগান্বিত হয়। মারতে যায়। ওই ঘটনায় আমি কাউকে মারিনি।
গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,অভিযোগ একজন করতেই পারেন। তবে সেটা তো প্রমানিত হতে হবে।