কোটচাঁদপুরে বর্গা চাষির ফলন্ত ৫ হাজার ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছেন,দূর্বত্তরা। এতে করে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষি আলমগীর হোসেন।গতকাল সোমবার (৩০-১০-২৩) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামনদহ মাঠে।
জানা যায়,কোটচাঁদপুর বড়বামনদহ গ্রামের বর্গা চাষি আলমগীর হোসেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। নিজের কোন জমি নাই তাঁঁর। দীর্ঘদিন ধরে পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে থাকেন। ওই মাঠে চাষি আলমগীর হোসেনের ড্রাগন সহ ১০ বিগা জমি বর্গা নেয়া। বাকি জমিতে আম বাগান করেছেন তিনি।
গতকাল সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা তাঁর ২৫ কাঠা জমির ৫ হাজার ড্রাগন গাছ কেটে সাবাড় করেছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন,বলে জানিয়েছেন চাষি আলমগীর হোসেন। আমার জানা মতে কোন শত্রু নাই। তবে অনেক মানুষের কাছে সারের টাকা পাবো। সেটা নিয়ে হয়তো কেউ অখুশি থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ড্রাগন গাছ লাগানো থেকে আজ পর্যন্ত ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ফল ঝুলছে। ওই ফল বিক্রি করলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা হত। সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ওই চাষি।
চাষি টিপু সুলতান (টিপু) বলেন,আলমগীর ভাইয়ের নিজস্ব কোন জমি নাই। ভাগে বর্গে জমি নিয়ে চাষ করেন। ওই জমিটিও লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ করছিল। ২৫ কাঠা জমিতে চাষ করতে কম পক্ষে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়।এখন তো জমির প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে, সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মনে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, ড্রাগন গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরেছি। অফিসের লোকজন গিয়েছিল। তারা স্বজমিনে দেখে এসেছেন। এ ছাড়া আমরা গবেষনা কেন্দ্রে কথা বলেছি,কাটা গাছগুলো কিভাবে রক্ষা করা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীকে থানায় পাঠানো হয়েছে মামলা করার জন্য। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবেও ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি,ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা সভাও তোলা হবে,জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার বলেন,ঘটনাটি আমরা শুনেছি। অভিযোগ এখনও হাতে পায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে।