বসত ঘর ভেঙ্গে রাস্তা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন। আজ শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুরের জালালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেনের পিতা,মাতা,ভাই ও বোনেরা।
তিনি বলেন,কোটচাদপুর উপজেলার ৫৩ নং জালালপুর মৌজার জমিতে আমাদের পৈত্রিক বসত বাড়ি। ওই
জমিতে আমরা দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছি। বেশ কিছু দিন ধরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ছবদুল বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা আমাদের ওই বসত ঘর ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা তৈরী করতে বিভিন্ন ধরনের বাহানা ও হুমকি ধামকি সহ মারপিটেরও ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,ছবদুল বিশ্বাস ইতোমধ্যে আমাদের বসতবাড়ীর উত্তর পার্শ্বের ০৩ ফুট জমি দখল করেছেন। তৈরি করেছেন ওই দখল করা জমিতে গরুর ফার্ম। তিনি এখন ওই গরুর ফার্মের ময়লা আবর্জনা, গরুর মলমূত্র আমার বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় ফেলছেন। যাতে করে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি আমরা। বিনস্ট হচ্ছে আমাদের ফলজ গাছসহ অনেক গাছগাছালি।
বিষয়টি নিয় পূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে নিষের করা হয়েছে। তবে তিনি তা কর্ণপাত করেননি। এখন ছবদুল বিশ্বাস নির্দেশে তাঁর সহযোগী অহিদুল ইসলাম ও আহসান হোসেন মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। তারা এখন জোরপূর্বক আমার বসত ঘর ভেঙ্গে দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরির পায়তারা করছেন।
আয়ুব হোসেন বলেন,ঘটনাটি আমরা জানার পর তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় তারা আমার ও আমার পরিবারের কয়েক জনকে মারপিট করেন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়। এতে করে ছবদুল বিশ্বাস ও তাঁর সহযোগীরা আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। এরপেক্ষিতে তারা গেল ০২/১২/২০২৪ তারিখে রাত ১১.০০ ঘটিকার সময় তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে আমাদের বসত বাড়ি, রান্নাঘর, কবুতরঘর ভেঙ্গে দেন। কেটে দেন ফলজ ও বনজ গাছ-পাছালি।
এ সময় আমি কোটচাদপুর মডেল থানা ও তালসার পুলিশ ক্যাম্পে কল করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির কেউ কোন সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। এরপর তারা আমাকে ঢিল দিয়ে আঘাত করেন। এতে আমি গুরুতর আহত হয়। পরে প্রাণভয়ে চিৎকার করে আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে খুঁজে বেড়ায় এবং বলেন যেখানেই পাইবে আমাকে সেখানেই শেষ করে দেবে।
বর্তমানে আমার ও আমার পরিবারের মানুষের প্রাণ সংশয় রয়েছে। এ কারন কোন উপায় না দেখে আমি আপনাদের সহায়তা কামনা করছি। আপনারা আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা সমাজের মানুষের মাঝে তুলে ধরেন। সাথে সাথে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনাও করেছেন ভুক্তভোগী আয়ুব হোসেন।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ছবদুল বিশ্বাস বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে মিটিং চলছিল। এ সময় মিটিং থাকা কিছু ছেলেরা এ কাজটি করেছেন। যা করা তাদের ঠিক হয়নি। তবে ওই ঘটনার পুরো দোষারোপ তারা আমাকে করছেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ছাড়া তারা ওই ঘটনা নিয়ে থানায় একটা অভিযোগ ও করেছেন। আমি বিষয়টি দেখার জন্য ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগটি পাঠিয়েছি।