কোটচাঁদপুরে বিলের খাসের জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে করে করে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৭ দিকে স্থানীয় ভাটাম তলা মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। তবে আর কোন সংঘর্ষের আশংকা নাই বলে জানিয়েছেন থানা কর্মকর্তা। জানা যায়, উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের পাশেই অবস্থিত তালতলা বিল। এ বিলের জমি দখল নিয়ে গেল বৃহস্পতিবার রাত ৭ দিকে স্থানীয় ভাটাম তলা মোড়ে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও অমেদুল ইসলাম পেরেক গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন স্থানীয়রা। যার মধ্যে রয়েছে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ভাই খায়রুল ইসলাম (৩৫),ইয়ারুল ইসলাম (৩৩) তরিকুল ইসলাম (৩০) সাদ্দাম হোসেন (২৮) নজরুল ইসলামের আনোয়ারা খাতুন (৭০) ও ভাই বউ সাগরিকা খাতুন (২৬)।
অন্যদিকে অমেদুল ইসলাম পেরেক পক্ষের রয়েছে, সুন্নত মন্ডল (৬৫), শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক (৫০), মফিজুর রহমান (৪৮), আমিনুর রহমান (২৮) ও আসাদুল ইসলাম( ৫০)।
এদের মধ্যে শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই ঘটনায় মর্জিনা খাতুন বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলা নাম্বার-৪, তারিখ-১২-০৭-২৪। বিষয়টি নিয়ে বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু ভাই খায়রুল ইসলাম বলেন,বিলের জমি নিয়ে পেরেকের সঙ্গে গোলযোগ চলছিল। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে পেরেক পাড়ায় গিয়ে হুমকি দেন। ওইদিন সন্ধ্যা বেলায় বলুহর বাটাম তলায় যায়। এরপর তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে করে আমার তিন ভাই মা ও ভাই বউ সহ ৫ আহত হয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। তিনি বলেন, ওই সময় তারা আমার ভাই ও আমার কাছে থাকে টাকা ছিনিয়ে নেন। অমেদুল ইসলাম পেরেক বলেন, আমার পিতা দাখিলা মূলে ওই জমি চাষবাদ করে আসছি। নজু চেয়ারম্যান গায়ের জোরে পুকুর করে দখল করে রেখে ছিল। তিনি বলেন, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। সেই মামলার দুইটি রায়ও আমি পেয়েছি।
এ ছাড়া কয়েকদিন আগে কোটচাঁদপুরে সার্কেল সাহেবের সালিশেও বলে দিয়েছেন। এরপরও বৃহস্পতিবার তারা এ মারামারি করলো আমাদের সঙ্গে। চেয়ারম্যান তাঁর লোকজন দিয়ে এক শিক্ষকসহ ৫ জন কে আহত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ক্ষমতা দেখিয়ে গ্রামের অনেক মারধর করেছেন। এবার আর তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, ওই ঘটনায় কতজন ভর্তি আছে তা আমার জানা নাই। আপনি জরুরি বিভাগে ডাক্তার শারমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলতে পারবেন। এরপর ডাক্তার শারমিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কখন কবে মারামরি হয়েছে, তা আমার জানা নাই। এই মাত্র আপনার কাছে শুনতে পেলাম। আর ওই তথ্য নিতে হলে হাসপাতালে এসে নিয়ে যান।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন, ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওই মামলার বাদি মর্জিনা খাতুন। তিনি বলেন, মূলত বিলের খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা। বিষযটি নিয়ে আর কোন সহিংসতার আশংকাও নাই বলে জানিয়েছেন তিনি।