ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কর্মরত দৈনিক আমার সংবাদ ও মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক মঈন উদ্দীন খাঁনের সঙ্গে ডাঃ ফাহিম উদ্দীনের অসদাচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কোটচাঁদপুরের সাংবাদিক মহল।
গতকাল সোমবার সংবাদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফোনালাপে এ অসদাচরণের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গেল ৪ নভেম্বর অঞ্জনা (২২) নামের গর্ভবতী এক গৃহবধূকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয় কোটচাঁদপুর নার্সিং হোমে। অপারেশনটি করেন ডাঃ ফাহিম উদ্দীন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে ওই গৃহবধূ বাড়িতে যাওয়ার দুই দিন পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন, ভর্তি হন নার্সিং হোমে।
তারা একদিন চিকিৎসা দেয়ার পর কোন উন্নতি না হওয়ায়, তাকে যশোরে রেফার্ড করে দেন নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। এরপর রোগীর স্বজনরা অঞ্জনাকে নিয়ে ভর্তি করান যশোর সদর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা দেয়ার পরেও কোন উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে দেন। রোগীর স্বজনরা ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে ফিরে আসেন বাড়িতে। ওই রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে আসেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর জরুরী বিভাগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে ডাঃ ফাহিম উদ্দীনের সঙ্গে ফোনালাপে জানতে চান, সাংবাদিক মঈনুদ্দিন। এ সময় তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে অসদাচরণ ও কটুক্তি করে বলেন, আগে ডাক্তার হয়ে আসেন, তারপর আমার সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে ডাক্তারের এহেন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কোটচাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মৃদুল, কোটচাঁদপুর রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি অশোক দে, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বিএম ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক। সাংবাদিক এস এম রায়হান উদ্দিন প্রমুখ।