কোটচাঁদপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল শুক্রবার রিমা খাতুনের মৃত্যুর পর যা দাড়িয়েছে ৭ জনে। যার মধ্যে রয়েছে উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের একই পরিবারের ৪ সদস্য। শোকের মাতম চলছে ওই পরিবারে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামের তোরাব আলী স্ত্রী শিউলি খাতুন(৫০), মেয়ের মেয়ে খুকুমনি(৭), ছেলে রুবেলের শিশু পুত্র রাফান দেড় মাস ও বউ মা রিমা খাতুন (২৫)কে নিয়ে কোটচাঁদপুর ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিল।
পথিমধ্যে কোটচাঁদপুর পৌর কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌছালে, সামনে থেকে আসা ক্যাভার্ড ভ্যানটি সজোরে ধাক্কা দেন। এতে করে ঘটনাস্থলে মারা যান,শিশু রাফান, খুকুমনি ও ভ্যান চালক সলেমান। গুরুতর আহত হন এলাঙ্গী গ্রামের তোরাব আলীর স্ত্রী শিউলি খাতুন (৫০)ও বউমা রিমা খাতুন(২৫),কালীগঞ্জ উপজেলার তিলেচাঁদপুর গ্রামের মাজেদ শেখের ছেলে টিটু শেখ (৪০),ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার বৈশামারি গ্রামের নুরআলির ছেলে পেয়ারা ব্যাবসায়ী আলামিন (৬৫),
এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তারুনী পাশা, তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এরমধ্যে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শিউলি খাতুন, টিটু শেখ। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা আলামিন (৬৫),এদিকে রিমা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। ওখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়া ওই রাতেই রিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। অবশেষে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে মৃত্যুর কাছে হার মেনে,চলে যান না ফেরার দেশে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ওই ঘটনায় সড়ক ও পরিবহন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নাম্বার -০১-০৪-০৫-২৩। এলাঙ্গী গ্রামের তোরাব আলী বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলাটি করেছেন।